Thursday, August 11, 2022

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাইকে নিয়ে ট্রল এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানো লোকজনের চরিত্র


ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ভাই সংগঠনের অন্যতম মুখলিস দাঈ, প্রাজ্ঞ সংগঠক এবং সেরা বক্তা। কুরআনকে নিজের মাঝে এমনভাবে জড়িয়ে নিয়েছেন যে কথায় কথায় কুরআনের আয়াত বের হয়।

কিন্ত ইতিমধ্যে ভাইয়ের কিছু আবেগময় বক্তব্যের কিছু ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের সাথে সাথে ট্রলও করা হচ্ছে, ইতিপূর্বেও হয়েছে।
এবং এই অন্যায্য ট্রলে আমাদের জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা অত্যান্ত কষ্ট পায়, কষ্ট পেয়ে কেউ 'এইভাবে ট্রল করে মাসুদ ভাইয়ের ইজ্জতহানী' করাকে অন্যায়ের চোখে দেখে চুপ থাকেন, কেউ পালটা ট্রল করতে শুরু করে, আবার কেউকেউ সংশ্লিষ্ট (আরেফিন মোহাম্মদ) ব্যক্তির বিদায়ের ঘটনার সাথে নারী ঘটিত কেলেংকারীর ভয়ংকর অপবাদ জুড়ে দেয় (বিভিন্ন মহাপবিত্র মিথ্যুক দায়িত্বশীলদের রেফারেন্স কোট করে) আবার কেউ তার পদের লোভের কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মিথ্যাচার করে তাকে প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যায়, আবার কেউ গালাগালির আশ্রয় নিয়ে তাকে দ্বীন থেকে খারিজ করে দেওয়ারও চেষ্টা করে।
আর এসব পালটা প্রতিক্রিয়া এসেছে মাসুদ ভাইকে যারা ভালোবাসে তাদের কষ্টের স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে। ইটা খুব সিম্পল হিসেব!
কিন্তু দুঃখজনক হলো, একটু আগে যারা মাসুদ ভাইকে নিয়ে ট্রলের বিপরীতে বিভিন্ন নছীহত করে এসেছে ট্রলকারীর পোস্টের কমেন্টে ও নিজেদের ওয়ালে পোস্টানোর মাধ্যমে।
দেখলাম একটুপরেই এরাই আবার সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী হাফিজাহুল্লাহকে নিয়ে ট্রল ও নোংরা আক্রমণ করে শায়েখের ইজ্জতহানী করার মহান দায়িত্ব পালনে ঝাপিয়ে পড়ে। শেখ মুজিবকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করা ও শেখ হাসিনা জাফরীকে সাহেবকে সন্মান করার কথা বলা যেনো জাফরী হুজুরের জন্য যেনো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানে তিনি মহাপাপ করে ফেলেছেন।
আজীব ব্যাপার! (ট্রলবাজদের ইচ্ছে শেখ মুজিবকে নিয়ে স্মৃতিচারনের সময় জাফরী সাহেব যেনো "শেখ মুজিবের সাথে 'ধর-মার-কাট' টাইপের সম্পর্ক ছিলো" এমন টাইপের কিছু বলুক কিংবা শেখ মুজিবকে দু'চারটে গালি দিয়ে স্মৃতিচারণ শুরু করুক!)
অথচ একটু আগেই এদের নিয়ে আশা করেছিলাম, এবার বুঝি এরা বুঝবে 'হাসি তামাশা' করে অন্যের অনুভূতিতে কষ্ট দেওয়ার মর্মবেদনাটা কেমন!
পরে বুঝলাম জাহিলদের থেকে এরকম কিছু আশা করা উচিত হয়নি, কারণ 'লাহুম কুলুবুহুম আকিন্না'।
সংগঠনের এই ট্রলবাজগুলো মনে করে ট্রল করার অধিকার একমাত্র তাদেরই আছে, এবং অনেকক্ষেত্রে এই ট্রলবাজীকে দ্বীনের দায়িত্ব মনে করেই পালন করে।
বস্তুত এই লোকগুলো ইসলামী সংগঠনগুলোর মাঝে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের সম্পর্ক তৈরি হওয়ার রাস্তায় অনবরত কাটা বিছানো ও বিভেদের দেয়াল তোলার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকে।।
আল্লামা সাঈদীর পরে এদেশে তারিক মনোয়ারের চাইতে বড় কোন ওয়ায়েজ দায়ী ছিলোনা। যার আলোচনার প্রভাব ছিলো মারাক্তক ধরণের। যার আলোচনা শুনে মানুষ দ্বীন ও দ্বীনি আন্দোলনে সক্রিয় হতো। তিনি এদেশের ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর সম্পদ।
কিন্তু তিনিও এই ট্রলবাজদের নোংরা হাস্যরস থেকে বাঁচতে পারেনি, অথচ তার কথায় 'অতিরঞ্জনের শংকা' ছাড়া আর কোনো বিশেষ সমস্যা ছিলোনা, অথচ এই একই অতিরঞ্জনের সমস্যা থেকেই মাসুদ ভাইয়েকে নিয়ে ট্রল হচ্ছে।
একইভাবে, মাসুদ ভাইকে নিয়ে আরেফিন মোহাম্মদের ট্রলে কষ্ট পাওয়া এই ট্রলবাজেরাই চরমোনাই পীর ও তাদের আলিমদের বক্তব্য নিয়ে হাস্যরসের মজমা বসায়, বাইন মাছ, বেগুন, ও বাঘের ঘটনাগুলো তাদের আবেগের বিষয় এবং এগুলো তারা আবেগময় কান্নাজড়িত কন্ঠে আলোচনা করেন এবং স্রোতারাও শুনে কান্নাকাটি করেন, যেমন মাসুদ ভাই সহ সংগঠনের অনেক নেতারা এরকম বহু অলৌকিক ঘটনা বয়ান করে এবং সেগুলো শুনে সংগঠনের কর্মীরা চোখের জল ফেলেন।
কিন্তু যখন আমরা চরমোনাইয়ের এসব কারামাত নিয়ে তামাশা করি তখন তারা কেমন কষ্ট পেতে পারে তা একবারও বিবেক খাটিয়ে চিন্তা করিনা!
ভাবটা এমন ❝আমরা ট্রল করলে আরাম , আর অন্যেরা করলে হারাম!❞
কাজী ইব্রাহীম হাফিজাহুল্লাহর মত মুহাক্কিক সজ্জন আলীমও (মাসুদ ভাইকে নিয়ে ট্রল করায় কষ্ট পাওয়া) ট্রলবাজ লোকদের ট্রল থেকে রক্ষা পায়নি।
আলিম ওলামাদের নিয়ে ট্রলের ক্ষেত্রে ট্রলবাজ ঘৃণাজীবী ইসলামিস্ট আর শাহবাগীরা কোন ফাঁকে পরস্পর পরস্পরের সহোদর ভাই হয়ে যায়, এরা টেরও পায়না।
টের তখন পায় যখন নিজেদের নেতা ও দল নিয়ে ট্রল শুরু হয়, তখন চলতে থাকে ফাতওয়া আর ট্যাগের কামান, একইসাথে চরিত্রহনন।
এই বুঝ থাকা উচিত, যে ধরণের ভুল নিয়ে অন্যদের অপমানিত করি, এই একই ধরণের ভুল আমরা নিজেরাও করি আমাদের নেতারাও করে, যেহেতু তারাও মানুষ। আমাদের নেতা ও দল নিয়ে যখন কেউ হাসি তামাশা করে তখন আমরা যেভাবে ব্যথিত হই একইভাবে আমার ট্রলের আক্রান্ত লোকেরাও ব্যথিত হয়।
ট্রলবাজী ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের একাংশের চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে। কোনোভাবে নিজের মতের সাথে হুবহু না মিললেই কাম সারছে, ঐ ব্যক্তির ইজ্জত হনন করতে একটুও দ্বিধা করবেনা, দ্বিমতের জায়গাটা হোক একান্তই রাজনৈতিক বুঝাপড়ার বা অন্যকোনো সাধারণ ইস্যু।
যাইহোক, যাহা অন্যের জন্য অপছন্দ করেন, তাহা নিজের জন্য অপছন্দ করুন। দেখবেন আস্ত আস্তে হিপোক্রেসি বিদায় নিবে। ক্বলব পরিস্কার হতে থাকবে।।
আল্লাহ মাসুদ ভাইকে সন্মানিত করুন। তাকে আরও সত্যাশ্রয়ী, বিনয়ী ও প্রজ্ঞাবান করুন। আমিন।

Saturday, July 9, 2022

জামায়াতের নির্বাচনী রাজনীতি: ৩০০ আসনে ইলেকশনের পরিণতি

জামায়াত ৩০০ আসনে ইলেকশন করবে কিনা জানিনা। কিন্তু এবার ৩০০ আসনে ইলেকশন করলে ৯৬ এর মতো ৩টি নয় অন্তত একটি হলেও বেশি আসন পাবে, দেইখেন! 

তবে, ৯৬ এর মতোই ২০০+ আসনে এবারও জামানত হারাতে পারে। ৯৬ তে যেমন প্রায় ৫০+ আসনে ’জামায়াত বিএনপি' একে অপরকে হারিয়ে আওয়ামিলীগকে জয়ী করে দিয়েছিলো, এবারও সেটার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শেখ হাসিনার সাথে যুগপৎ আন্দোলনের বদৌলতে জাতী ১৮ আসনকে ৩৬ বানায়নি বরং ৬ গুন কমিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন কায়েমের জন্য জাতী যে ১৮ টা আসন দিয়েছিলো জাতী ৫ বছর ধরে আল্লাহর আইন কায়েমের ব্যাপারে পেরেশানিও লক্ষ্য করে ৯৬ তে তার জবাব দিয়েছিলো। 

জেনে রাখা ভালো, ৯৬ এর ইলেকশন ১৪/১৮ এর মতো রাতের নির্বাচন ছিলোনা বরং বলা যায় সেটি ছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম ফেয়ার ইলেকশন।

ইলেকশন করে দু'চারটা আসন দিয়ে কী হবে জানিনা। তবে এটা জানি যে, ভোট করতে গিয়ে বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বহু লোকের রক্ত ঝরবে জীবন যাবে, বহু লোক পংগু হবে, আবার অনেকে মামলা খেয়ে বাড়িঘর ছাড়া হবে, এবং অগণিত টাকা পানিতে ঢালা হবে, একইসাথে অসংখ্য পাড়াপ্রতিবেশিকে শত্রু বানানো হবে।।

আমারা গায়ে পড়ে কেনো অগণিত মানুষের শত্রু হতে যাবো! এই শত্রুতা ও রক্ত দান যদি ক্ষমতায় যাওয়ার সিড়ি হতো তাহলেও মানা যেতো।

কিন্তু যেখানে নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়া ও না যাওয়ার কোনো ইস্যু নেই সেখানে কেনো দুইটা দলের মাঝখানে ঢুকে নিজে চ্যাপ্টা হবো এবং সাথে বহু মুমিম নরনারীকে চ্যাপ্টা বানাবো! 

কেনো!!!

যদি দাবী করি মক্কী যুগে বাস করি, তাহলে কোনভাবেই পাওয়ারকে চ্যালেঞ্জ করার অধিকার রাখিনা, কেননা মক্কী যুগ পাওয়ারকে চ্যালেঞ্জ করার শিক্ষা দেয়না।। 

আমার কথা সোজা! 

আগে দাওয়াতে ইলাল্লাহর কাজ বাড়িয়ে শক্তি অর্জন করুন, তারপর যখন সময় সুযোগ আসবে, তখন জনগণের মাথায় হাত বুলিয়ে 'ক্ষমতা' আহরণ সম্ভব হলে তাই করুন, আর নাহয় জনগণের গাড়ে বন্দুক রেখে 'ক্ষমতা' কেড়ে নেওয়া সম্ভব হলেও তাই করুন।

#নির্বাচন #রাজনীতি

https://mzamin.com/news.php?news=5823

বুদ্ধিজীবী হওয়ার নিঞ্জা টেকনিক সমূহ ? (৮ জুলাই ২০২১)

ইসলামের জ্ঞান ও আমল দিয়ে নিজের ভিতরটা আলোকিত করুন। আল্লাহ সন্মান বাড়িয়ে দিবেন। এজন্য বুদ্ধিজীবী হওয়ার খায়েশ থাকার দরকার নেই। 

তারপরও  বুদ্ধিজীবী হওয়ার লালসা প্রবল হলে নিম্নোক্ত টেকনিকগুলো ফলো করতে পারেন-

  • ১। সর্বাগ্রে ঈমান ইসলাম নিয়ে লেখালেখি বাদ দিতে হবে। 
  • ২। ইসলাম নিয়ে লিখলেও সেটা প্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে বা ক্রিটিক করে লিখতে হবে। 
  • ৩। নিজের আত্মপরিচয় বা ধর্ম পরিচয় বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেননা।
  • ৪। কথা বা লেখার আগেপাছে প্রচুর ইংরেজি টার্ম ইউজ করে লেখাকে এমন কমপ্লেক্সে করতে হবে যেনো কেউ লেখার আগামাথা কিছুই ধরতে না পারে। তবে এটা বুঝতে পারে যে, আপনি উচ্চমার্গীয় কিছু একটা লিখেছেন।  
  • ৫। ইসলামপন্থী তথা যারা ইসলামী রাস্ট্র কায়েম করতে চায় তাদেরকে প্রচুর ক্রিটিক করতে হবে, দু'চারজন পশ্চিমা কাফের সমাজবিজ্ঞানীর থিউরি আওড়াইয়া প্রমাণ করতে হবে ইসলামী রাষ্ট্র ধারণা একটা অনৈসলামিক ধারণা। 
  • ৬। সর্বদা স্রোতের বিপরীতে একটা অবস্থান দাঁড় করাতে হবে, সবাই যা বলবে ঠিক তার বিপরীতে বলতে হবে, হোক সবার কথা সঠিক। 
  • ৭। এমন অহংবোধ তৈরি করতে হবে, যার কারণে সাধারণদের কাতারে শামিল দাঈ ইলাল্লাহর কাজ করতে পারবেননা লজ্জায় কিংবা ভাবে। 
  • ৮। প্রাচীন দার্শনিকদের প্রচুর কোটেশন ও বইয়ের নাম মুখস্থ করবেন এবং জায়গায় বেজায়গায় সেগুলো আওড়াবেন।
  • ৯। আলেম ওলামা, কবি সাহিত্যিক ও ইসলামিস্টদের নাম ধরে ধরে সমালোচনা করতে হবে। 
  • ১০। আন্দাজ অনুমান নির্ভর হয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে, বিশ্লেষণ ভুল হলেও মেনে নেওয়া যাবেনা। 
  • ১১। এবং কাউকে স্বীকৃতি দেওয়া যাবেনা, একান্তই স্বীকৃতি দিতে হলে হাফ বা কোয়ার্টার স্বীকৃতি দিতে হবে, মানে দু'চারটে দোষ অনুমান করে হলেও চাপিয়ে দিতে হবে। 
  • ১২। নিজের জ্ঞান নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে হবে, মানে এমন ভং ধরতে হবে, যেনো দেখেই মানুষ অনুমান করতে পারে আপনি মহাজ্ঞানী টাইপের কোনো প্রাণী হবেন। 
  • ১৩। কাউকেই গুরু মানা যাবেনা, মানলেও স্বীকার করা যাবেনা
  • ১৪। নিজেকেই সবচেয়ে বড়ো জ্ঞানী এবং নিজের ব্যাখ্যাই সেরা ব্যাখ্যা মনে করতে হবে। 

আহবান:

আমাদেরকে মানুষের চোখে বুদ্ধিজীবী হওয়ার চাইতে বিনয়ী ও পরিশুদ্ধ ক্বলবের অধিকারী হওয়া বেশি জরুরী এবং আলটিমেট সাফল্য এখানেই। 

আল্লাহর ভাষায়,

قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ 

অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে যে পরিশুদ্ধ হয়।

আমাদের সালফে সালেহিনেরা বুদ্ধিজীবী ছিলেন না, তারা আল্লাহর দ্বীনের ফকিহ ছিলেন। এবং তারা দ্বীনের আলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহও মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিয়েছেন।

মুহা.মিজানুর রহমান
ভাই ১৩ নাম্বার পয়েন্টের বিষয় জানতে চাই।কাউকে গুরু মানা কি খুব বেশি জরুরি? শুধুমাত্র আমাদের প্রফেটকে অনুসরণ করলে হবেনা?
  • Like
  • Reply
  • 1y
  • Rakib Hasan
    মুহা.মিজানুর রহমান আমাদের প্রফেটকে যারা ভালো বুঝেছে, তাদেরকে গুরু মানতে হয়, নইলে রাসূলকে রাসূলের মতো না মেনে নিজেদের মতো মানা বা ব্যাখ্যা করা হবে।
    তথা ইসলামী জ্ঞানে সিলসিলার ধারায় নিজেকে যুক্ত করতে হয়।
    হাদিস আমাদের পর্যন্ত এসেছে সিলসিলার মাধ্যমে এবং ইসলামের ব্যাখ্যা গুলোও সিলসিলার ধারায় আমাদের পর্যন্ত এসেছে।
    4
    • Like
    • Reply
    • 1y
  • Rakib Hasan
    এককথায় ইসলামের অপেক্ষাকৃত পরিশুদ্ধ জ্ঞান লাভ করতে হলে গুরু বা উস্তাজের সানিধ্যের বিকল্প নেই। এবং এই থিউরি জাগতিক জ্ঞানের ক্ষেত্রেও এপ্লিকেবল

সমকামিতা ও ১০ মিনিটস: প্রতিবাদী জনরা বনাম সেক্যুলামিস্ট লিবারেল মুসলিম (৮ জুলাই ২০২০)

সমকামিতা ও ১০ মিনিটস স্কুলের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবাদকারী ও যৌক্তিকভাবে সমালোচনাকারীদেরকে সেক্যুলামিস্ট গুন্ডারা অনলাইনে যে হারে কোপাচ্ছে, মনে হচ্ছে এই গোষ্ঠী ক্ষমতায় থাকলে এতোদিনে প্রতিবাদী ভাইদের প্রতিক্রিয়াশীল, জঙ্গি, ও উগ্রবাদী ট্যাগ দিয়ে গণহারে ক্ব*তল করতো।

আমার দেখামতে, সেক্যুলামিস্টদের চাইতে উগ্রবাদী ক্বিতালি আর কেউ নেই। সুযোগ পাইলে এরা আপনাকে দ্বীনের খাতিরে, দ্বীনি ব্যখ্যা দিয়ে, উম্মাহর প্রগতির পথে বাধা হিসেবে দাঁড় করিয়ে সকাল বিকেল রুটিন করে জবাই দিতো। 

আওয়ামী সেক্যুলার রেজিমে মামলা খেয়ে হলেও দেশে থাকা সম্ভব হচ্ছে, কিন্তু মডারেটস সেক্যুলামিস্টদের রেজিম হলে জানে বাঁচতে অন্তত মায়ানমারে গিয়ে হলেও পালানো লাগতো।।

আসুন! এদের সাথে পরিচিত হই, 

  • হুহ্!  আগে নিজে আয়মান সাদিক হন, তারপর তার সমালোচনা করিয়েন। 
  • -কই! ১০ মিনিটস স্কুলের কন্টেন্টে তো ভালো ছাড়া খারাপ কিছু দেখিনি, সেক্স এডুকেশন,  স্লিপিং অভার নাইট, পিরিয়ড এগ্লার গুরুত্ব ইসলামিস্টা কী বুঝবে। 
  • - সমকামিতা নিয়ে আপনার ঈমানে এতো জ্বলা ধরেছে ক্যান, কই দেশে এতো ধর্ষণ হয়, এতো দূর্নীতি হয় তা নিয়ে তো এতো জ্বলতে দেখিনা।
  • - ১০ মিনিটস স্কুলের অশ্লীল কন্টেন্ট নিয়ে কেনো এতো কথা, দেশে কী অশ্লীল নাটক সিনেমা হয়না, যখন বলিউড-হলিউডের মুভির অশ্লীলতা দেখে মজা নেন তখন কই থাকে আপনার ঈমান। [লাখ টাকার প্রশ্ন]
  • -সমকামিতা নিয়ে কথা বলে পক্ষান্তরে সমকামকেই প্রমোট করা হচ্ছে, তারচেয়ে ভালো নীরবে দাওয়াত ও ইসলাহের কাজ চালিয়ে যান।
  • -এটা কী ইসলামি রাস্ট্র, আয়মান সাদিক কী ইসলামিক স্কলার যে, আপনার কথামতো ইসলামি কন্টেন্ট বানাবে। 
  • -মূলত, আপনারা মোল্লারা আয়মান ভাইয়্যার উপরে উঠায় হিংসে হয়, পারলে ১০ মিনিটস স্কুলের মতো কিছু বানান তারপর সমালোচনা করতে আইসেন। 
  • -১০ মিনিটস স্কুল সমকামীতাকে সাপোর্ট করলে আপনার সমস্যা কী, মাদ্রাসায়ও তো প্রচুর বলাৎকার হয়, কথা বলতে হলে আগে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বলুন, সেগুলোকে বন্ধ করে দিন।  

উপরের যুক্তিগুলো উগ্র সেক্যুলামিস্টদের, এদের কথা হলো দেশে যখন অনেক অন্যায় অশ্লীলতা হচ্ছে, সেখানে নির্দিষ্ট কোনো অন্যায়ের ব্যাপারে কথা বলা যাবেনা, যদি এতোই বলতে মন চায়, তাহলে আগে সেরকম কোনো প্রতিষ্ঠান বানাতে হবে, নতুবা চুপ থেকে তসবিহর দানা গুনতে হবে আর মাঝেমধ্যে তাদের মোটিভেশান শুনতে হবে। 

এসব ভাইদের প্রতি জানতে চাওয়া,

ধরুন! তাদের ফ্যামিলির কেউ কোনো এক লম্পটের কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হলো, এতে কী আমি ঐ ধর্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও ধর্ষণের এই কাজকে নিন্দার সাথে প্রতিবাদ করতে পারবো?  

নাকি বলবেন, দেশে প্রতিদিন কত ধর্ষণ হয় জানেন, আগে সেগুলোর প্রতিবাদ করে আসুন, তারপর আমার পরিবারের ধর্ষিতার ব্যাপারে নাহয় প্রতিবাদ করিয়েন। (তখন নিশ্চয় সেটা বলবেনা)

একসময় ইসলাম ও রাসূল সাঃ কে অবমাননাকারী নাস্তিকদের উপদ্রব বেড়ে যায়। এতে আ'ম মুসলিম জনতার কলিজায় প্রচন্ড আঘাত পায়, তাদের অন্তর-আত্মা প্রচণ্ড এক ঝাঁকনি খায়। ফলে তারা সামর্থ্যের মধ্যে প্রতিবাদ করেন, একেকজন একেক ভাষায়, একেক পদ্ধতিতে।

তখন এইসব উগ্র মডারেটরা প্রতিবাদকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে  পড়ে। তাদেরকে গালিবাজ, মূর্খ, অশিক্ষিত প্রবাসী বলে গালি দিতে থাকে। এরা প্রতিবাদকারীদের মোকাবেলায় নাস্তিকদের সামনে ঢাল হয়ে প্রতিবাদীকারীদের নানান কায়দায় বধ করে চায়। 

যখন, তাওহিদী জনতা ইসলাম অবমাননাকারীদের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলনে নামেন, তখন এরা চটপট করতে থাকেন, দেখে মনে হবে যেনো, এদের গর্দান ফাঁসী দড়িতে আটকে গেছে। 

তখন এরা তাওহীদি জনতাকে মোটিভেশান দিতে থাকে, দেখেন একজন ইসলাম অবমানাকারীকে ফাঁসি দিলেই তো শেষ, কিন্তু ফাঁসি না দিয়ে যদি ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে কয়েক বছর পর হয়তো পাক্কা ঈমানদার হয়ে  দাওয়াত ও তাবলীগ করতে পারে। 

এই একই সেক্যুলামিস্ট ভাইটি এই যুক্তি তার বাপ ভাইয়ের খুনির ক্ষেত্রে দিবেনা। কিন্তু সেই খুনির যদি ফাঁসী না হতো, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যে মানবতাবাদী বনে গিয়ে, অনেক বনী আদমকে মৃত্যুর হাত থেকেও বাঁচাতে পারতেন। আর  একজনকে বাঁচানো মানেই সারা জাহানের সব মানুষকে বাঁচিয়ে দেওয়া। 

আপনি এদেরকে কখনো অন্যায়, অশ্লীলতা ও দ্বীন বিরোধী  কাজের প্রতিবাদ করতে দেখবেন না, বরং প্রতিবাদীদের নানাভাবে নাজেহাল,  তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে, দেখবেন এরা ইসলামী শিক্ষা ও আলেমদের অপমান করছে নির্দ্বিধায়।

সমস্যা হচ্ছে, এই মডারেট সেক্যুলামিস্টদের তালে তাল মেলাচ্ছে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখা মূলধারার কিছু ইসলামিস্টরা, যা দুঃখজনক!

Monday, May 30, 2022

দখলী মেথডলজি

 -যদি (কনভেনশনাল) ব্যাংকিং সেক্টরে না ঢুকি তাহলে তো গুরুত্বপূর্ণ ও বিশাল এ সেক্টরটি ইসলাম বিরোধীদের দখলে চলে যাবে!

-বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংগঠন আওয়ামীলীগে যদি না ঢুকি তাহলে তো পুরো আওয়ামীলীগ সেক্যুলার ও ইসলাম বিরোধীদের দখলে চলে যাবে। আমি একজন ঢোকা মানে আওয়ামীলীগে ইসলামের পক্ষে অন্তত একটা লোক তো আছে, যার হাত ধরে আস্তে আস্তে পুরো আওয়ামীলীগই ইসলামপন্থী দল হয়ে যেতে পারে। 

একইভাবে বিএনপিসহ মুসলিমদের যত দল আছে সেগুলো বাতিলদের জন্য ছেঁড়ে দেওয়া কী যৌক্তিক হবে?? [এই অখ্যাত যুক্তিটি কেউ ব্যবহার করেনা, করলের কেউ মানতে চাইবেনা]

-সংসদের দু'চারটে সিট যদি দখল করতে না পারি, তাহলে তো সংসদ ইসলাম বিরোধীদের হয়ে যাবে। অন্তত একটা সিট দখল করা মানে সংসদে ইসলামের পক্ষে একটি আসন থাকা🙃! 

যদিও আমাদের সিট দখলে 'সেক্যুলার জাহিলিয়াতি কানুন' পরিচালনা ও তৈরিতে কোনো বিঘ্নতা তৈরি করেনা ও তথা করিনা। 

- একইভাবে প্রশাসন, শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতি সেক্টরগুলোর যে অংশে বা যে কার্যক্রমে ইসলামের আপত্তি রয়েছে সেগুলোকেও তো ছাড়া যাবেনা, ছেঁড়ে দেওয়া মানে ঐ জায়গাগুলো ইসলাম বিদ্ধেষীর দখলে চলে যাওয়া।

#satire #sarcasm

Wednesday, April 13, 2022

প্রিয় খালাতো ভাইয়ের বিদায়

রক্তের ভাই প্রিয় বন্ধু আল্লাহ তোকে ক্ষমা করে দিক।

দুনিয়ার সাথে অভিমান করে এভাবে নীরবে চলে যাবি ঘূনাক্ষরেও ভাবিনি।।
আমরা প্রায় কাছাকাছি সময় পৃথিবীতে এসেছি। একইসাথে দুষ্টমিতে ভরা শৈশব কৈশোর পাড়ি দিলাম, একইসাথে পড়াশোনা করলাম, একসাথে কতো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাহিরে আড্ডায় মেতে থাকতাম। বন্ধুদের আড্ডায় তার সুন্দর বাচনভঙ্গি ও মজার মজার কথাদিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো।
তার মতো এমন প্রাণচঞ্চল ও স্বপনচারী মানুষ কমই দেখেছি, তার সাথে কথা বললে নিজের হতাশাই নাই হয়ে যেতো, তার রয়াল ভয়েজে , মিশুক ও সুন্দর মনের জন্য আমাদের বন্ধুদের প্রায় সকলের প্রিয় ছিলো, এবং উস্তাদরাও তাকে খুব ভালো পেতেন, কারণ দুষ্টমি করলেও পড়াশোনা ও খেলাধুলাসহ সবকিছুতেই ভালো ছিলো।
ক্লাসমেটদের সাথে গল্প হলে তার একটা অংশজুড়ে তার উপস্থিতি থাকতো।
সে আমার কলিজার ভাই ছিলো, তার ভালোর জন্য সবসময় পেরেশানি কাজ করতো। সেও আমাকে অনেক সন্মান করতো এবং ভালবাসতো।। আজ মনে হচ্ছে কলিজার একটা অংশ খালি হয়ে গেছে।
আফসোস, যে ভালোবাসা আর ছায়ার অভাব অভিমানী বানিয়েছে যদি তারা একটু ফিল করতো!
কিন্তু উপরে উপরে প্রাণচঞ্চল স্মার্ট ভাইটি আমার কষ্ট আর হতাশার অবিরাম দরিয়ায় সাতরাতো, যা দেখে কারোই বুঝার উপায় থাকতোনা। আমি বুঝতাম কিন্তু কাউকেই তার কষ্টের কথা কখনো শেয়ার করতেননা শুধু নিজের সুন্দর ও সাহসী মুখোশটাই দেখাতেন।।
আমি প্রায়ই বলতাম, ও জীবনে যা করতে চেয়েছে তার সব কিছুতেই হতাশ ও ব্যার্থ হয়েছে শুধু বিয়েটা ছাড়া।
আল্লাহ তার কোনো ভালোর দিকে তাকিয়ে ক্ষমা করে দিন। আমিন। অন্তত দুনিয়া না পাওয়ার বিনিময়েও যদি ক্ষমা দেন।
অসহায়ত্বের কালে প্রিয় মানুষের ছায়া থেকে আর কেউ যেনো বঞ্চিত নাহয় কেউ যেনো বঞ্চিত না করেন।।
তার বৃদ্ধ মা যেনো আদরের ছোটো ছেলের বিয়োগ যন্ত্রণা সইতে পারে। আমিন।

Monday, April 11, 2022

আমরা যেটা আজ বুঝি, মোল্লারা সেটা বিশ বছর পরে বুঝে

একশ্রেণীর ইসলামিস্টরা দাবী করে ❝আমরা যেটা আজ বুঝি, মোল্লারা সেটা বিশ বছর পরে বুঝে❞

আসলে ঐ ইসলামিস্টরা ২০ বছর আগে যে ভুলের আবর্জনা গ্রহণ করে, মোল্লারা সেটা বিশ বছর পর।।
ভুলের প্রতিযোগিতায় যে আগে থেকেই ভুল শুরু করে তিনি এগিয়ে থাকবে, এ বিবেচনায় ঐ ইসলামিস্টরা এগিয়ে, ওদেরকে পুরস্কৃত করা হোক!

Saturday, April 2, 2022

রাজনীতিতে জামায়াতের কী করা উচিত ?


জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর রাজনীতির ফলে 'ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের তেমন উপকার না হলেও ক্ষতি হয়েছে বেশুমার। 

ইসলামের বাহিরের রাজনৈতিক তত্ত্বকে তাকফির করে আবার সেই শাসনের অংশীদার হওয়ার মতো ভুল করে আসছি যুগ যুগ ধরে, ফলে তাগুত/গাইরে তাগুত আমাদেরকে হিপোক্রেট বলারও যৌক্তিকতা খুঁজে পায়। আজ একদলকে ইসলামের পক্ষে কাল আরেকদলকে একই সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে, এক্ষেত্রে প্রায় নিরূপায়। 

গত সত্তর বছরে ক্ষমতা দ্বান্দ্বিক রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় বরাবরের মতো পরাজিত হয়ে আসছে, ফলে যারা রাজনৈতিক এক্সপ্রিমেন্ট চালানোর শুরুতেই বাধা দিয়েছে নসিহত করে বুঝিয়েছে তারা বরাবরই হক্ব ছিলো সেটা প্রমাণ হয়ে আসছে কিন্তু আমাদের ইবরত হাসিলও হচ্ছেনা আক্বলেরও উদয় হচ্ছেনা।

রাজনীতির নামে শুধু শুধু একে-ওকে শত্রু বানানো আর আদর্শ বিসর্জন দিতে বাধ্য না হয়ে, এসব বাদ দিয়ে দাওয়াত ও ইসলাহের কাজে নেমে পড়াই অধিকতর কল্যাণ।। 

মানে, মুরুব্বিদের ফর্মুলা মতে দাওয়াত ইলাল্লাহ, শাহাদাতু আলান নাসের ক্রমধারায় মনোনিবেশ করা উচিত।

ভোটবাদী রাজনীতি না করে বা অস্বীকার করেও ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের কাজ করা যায় এবং বিজয়ও হাসিল সম্ভব।।

বরং ক্ষমতার লড়াইতে সেদিন নামুন যেদিন বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার সম্ভাবতা তৈরি হয়, এর আগে শক্তির ক্ষয় করবো কেনো!  প্রাণের অনেক মূল্য এই প্রাণ কী নিরেট ইসলামের জন্য কোরবান হচ্ছে কিনা তাতো ভাবনায় আনা দরকার।। 

বিজয়ের যখন সুযোগ তৈরি হবে, তখন সেটাকে হাসিল করার জন্য ভোট করার দরকার হলে ভোট করুন অথবা ঘাড়ে বন্দুক রেখে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়ার দরকার হলে তাই করুন। 

সর্বোপরি, আপাতত অরাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলন চাই।। জানি এটা অসম্ভব।। রাজনীতির গোলকধাঁধায় একবার আটকা পড়লে নানান কারণে এখান থেকে বের হওয়া মুশকিল। অন্তত ইগো বলেও তো একটা কথা আছে। 

[বিঃদ্রঃ- আমার চিন্তার সাথে আপনার চিন্তা মিলতেই হবে এমন নয়। আপনার ঠিক বিপরীত চিন্তাও সঠিক হতে পারে।]

#রাজনীতি


67 Comments

Most relevant

  • Atikul Islam Liman
    অরাজনৈতিক ইসলামী আন্দোলন থিওরিটা কেমন ভাই? তাবলীগি টাইপের নাকি?
    4
    • Rakib Hasan
      Atikul Islam Liman তাবলীগ ইসলামী রাষ্ট্র, খিলাফ্‌ শরীয়াহ এসব নিয়ে কথা বলেনা। ইসলামী আন্দোলন ইসলামের সব নিয়ে কথা বলবেন, কিন্তু শুধু শুধু তাগু-তি ক্ষমতার পার্ট হওয়ার জন্য অনর্থক ও আদর্শ বিরোধী লড়াই করবেনা।।
    • Shahad Nurullah
      Rakib Hasan কিন্তু তা তো রাজনীতি হতে দূরে সরে গিয়ে নয়। বলতে পারেন কনভেনশনাল/ট্র্যাডিশনাল পলিটিক্স থেকে সরে এসে নতুন কিছু করা দরকার যা লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মনীতি-কর্মসূচী সমুন্নত রাখবে।
      3
    • Rakib Hasan
      Shahad Nurullah মোটামুটি কনভেনশনাল রাজনীতি ছেড়ে দিলেই নতুন কিছু হয়ে যাবে। লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কর্মনীতি-কর্মসূচী সব তখন ইকামাতে দ্বীনকে ঘিরে চলবে অটোমেটিক্যালি।।
    • Md Abdul Mannan
      ওনারা খুব শীঘ্রই সেই থিওরী
      নিয়ে আসছেন।
      আমরা যোগদানের লাইনে আছি।
  • Hasan Md Mehedi
    পোস্ট অনলি মি ক্রুন, সমস্যা হবে!
    6
    • Rakib Hasan
      মাঝেমধ্যে একটু নাড়া দিতে হয় আরকি😀
      • Like
      • Reply
      • 13w
      • Edited
  • Muhammad Younus
    ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনোই ফুল বিছানো থাকে না। জোটে থাকুন অথবা একলা চলুন প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপির সাথে জোট ভেঙে ফেললেই যারা জান্নাতের টুকরা দেখতে পাচ্ছেন তারা একধরণের অস্থির ও আবেগীয় মানসিকতা থেকেই এসব বলছেন। আর আনুগত্যের … 
    See more
    7
    • Mohammad Shoaib
      বিএনপিও তাগুত, তাদের সাথে বন্ধুত্ব কেন? ছিঃ
    • Rakib Hasan
      Muhammad Younus পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভাই
    • Md Abdul Mannan
      মাদীনা সনদ আবার দেখে নিতে পারেন।
    • Mohammad Shoaib
      কি আর দেখার? তো আম্লীগের সাথেও তো করা যায়! এগুলো নিছক নাটক, ভুল বুঝা! আমরা স্বাধীনভাবে কাজ চালাবো, এটাইতো আন্দোলন! বাধা আসলে আসুক!
  • Nizam Uddin
    হেফাজতে ইসলাম ও তাবলীগ জামায়াতে আপনাকে স্বাগতম 🤔
    5
    • Rakib Hasan
      কেনো বাকি দলে স্বাগত জানাবেন না? তারা কী দোষ করলো!
    • Nizam Uddin
      Rakib Hasan অরাজনৈতিক তো আর দেখি না পপুলার।
    • Rakib Hasan
      Nizam Uddin খুঁজতে থাকুন...
    • Md Abdul Mannan
      Nizam Uddin
      এবিপি, গণ অধিকার, মজলিস.......
      ওরাও আছে। ওরা তো কোনো দোষ করে নাই এবং বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে!
      • Like
      • Reply
      • 13w
      • Edited
  • Saleh Din
    দুঃখ জনক হলো আমরা নিজদের কর্মনীতি সংশোধন করতে রাজি নই।
    ছাত্র খারাপ, বার বার ফেল করছে।
    তাই কলেজ ছেড়ে ছুড়ে চিললায় যেতে পরামর্শ আসছে! যেই সেই চিললা না জীবন চিল্লা। … 
    See more
    4
    • Like
    • Reply
    • 13w
    • Edited
    • Md Abdul Mannan
      সহিহ্ সালাফী কর্মনীতি দিয়ে
      এবিপি-র মতো একটা নতুন … 
      See more
    • Saleh Din
      Md Abdul Mannan - প্রচুর সংশোধন আপনার ইমারজেন্সি।
  • আতিফ আবু বকর
    আপনার শপথ শেষ
    2
    • Rakib Hasan
      তাহলে একবার বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য রক্ত দেওয়া আরেকবার অন্য কাউকে ক্ষমতায় আনার জন্য রক্ত দেওয়াকে সমর্থন করাই যদি শপথের শর্ত হয় তাহলে নিশ্চয় শপথের অবস্থা ভালো নেই।।
    • Mohammad Shoaib
      হুম ভাই!
  • Razib Ahmed
    তালেবান থেকে অরাজনৈতিক হলেন কবে
    2
    • Rakib Hasan
      Razib Ahmed আপনি ভুল করছেন, এটা বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়।
    • Razib Ahmed
      Rakib Hasan রাজনিতির দেশে থেকে অরাজনৈতিক চিন্তা করলে হবে
    • আতিফ আবু বকর
      Razib Ahmed বালের অধীন রাজনীতিও ইসলামী আন্দোলন হলো তবে
    • Razib Ahmed
      আতিফ আবু বকর বালের অধিনে থেকে ব্যক্তিগত ইবাদত, ইসলাম, তাবলিগ,সিলসিলা সব চললে অান্দোলন চলবে না কেন
  • Sorol Kotha
    এসব বললে বক্তার ঈমান নিয়ে প্রশ্ন তুলবে জিহাদিরা
    • Rakib Hasan
      এমন প্রশ্ন তোলা সেসব জিহাদি ভাইদের অধিকার। তাদেরকে তাদের অধিকার চর্চা করতে দিন ভাই।।
      সবাই যদি সংগঠনকে প্রশ্ন করে তাহলে কাজ করবে কে। প্রতিটি সংগঠনে কিছু উন্মাদ থাকা জরুরী যারা ইমারতের আনুগত্য প্রশ্নাতীতভাবে করবে। তথা অন্ধ আনুগত্য করবে। এটারও দরকার আছে।
      এজন্যই ফেসবুকে সংগঠন নিয়ে কথা বলতে চাইনা, কারণ এসব কথা সবার উদ্দেশ্যে থাকেনা, কিন্তু এটাতো আলাদা করে বুঝানো মুশকিল।।
      তাছাড়া ইসলামী আন্দোলন মানুষের দ্বারা পরিচালিত, তাই এতে ভুল থাকবেই, এবং সেটারও সমালোচনা থাকতে হবে নইলে মানুষ ভুলকে দ্বীন ভাবতে শুরু করবে।।
      উভয়সংকট ভাই!
      • Like
      • Reply
      • 13w
      • Edited
  • Shahnoor Noor
    বিএনপি থেকে ইস্তেফা নেয়ার পাটা আমাদের নেই, আর টোটালি রাজনীতি থেকে ইস্তফা!!??
    আপনার পরামর্শ সুন্দর, কিন্তু অসুন্দর পরিবেশে সাবমিট করেছেন।
    এবার আপনাকে তাকফীর না করলেও তাখরীজ করার সম্ভাবনা আছে!!
    হুশিয়ার / সাবধান
    2
    • Rakib Hasan
      জি ভাই জানি ভুল জায়গায় লিখেছি।।
      ভাই যার ইচ্ছে খারিজ করবে করুক, খারিজ করাও ব্যক্তির অধিকার, চর্চা করুক না!
      2
  • Nayeem Ahmad
    পক্ষে-বিপক্ষে মারামারি চাই!
    3
    • Rakib Hasan
      Nayeem Ahmad আপনি কী 'হাত তালি' দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন নাকি গ্যালারিতে বসে পপকর্ন খাওয়ার চিন্তার করতেছেন🤔😀
    • Md Abdur Rahman
      Nayeem Ahmad ম‌নোস্তা‌ত্ত্বিক দ্বন্দ ভাললা‌গে না। অ‌নেক দিন কোদাকু‌দি দে‌হি না।
      2
    View 2 more replies
  • Muhammad Zakir Hossain
    এখনো একজন ক্যারিশমাটিক লিডার পাইলে .....
    2
    View 1 more reply
  • Alamgir Hossain
    তাগুদ কে ভয় পেলেন নাকি ভাই??
    View 1 more reply
  • Ma Hannan
    চিন্তার মিল থাকা জরুরি নয় বাস্তবতা বুঝতে না পারা বা না চাওয়াটা এক ধরনের হিপোক্রেসি!
    • Like
    • Reply
    • 13w
    • Edited
    • Rakib Hasan
      বাস্তবতা কারা বুঝতে চাচ্ছেনা ভাই?
    • Ma Hannan
      Rakib Hasan আপনি যতটুকু বুঝছেন বা রিয়ালাইজ করতে পেরেছেন এটাকে যারা অপরাধ মনে করে!
      2
    • Rakib Hasan
      Ma Hannan জি ভাই
  • Md Monawer Hossain
    রাষ্ট্র ইসলামবিরোধীদের টোটালি ছেড়ে দিয়ে ইসলামি আন্দোলন সফল হওয়ার ইতিহাস কি আছে কোথাও? আফগানিস্তান কি ছেড়ে দিয়েছে?
    আপনি বলতে পারেন কিভাবে আরও বেগবান করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে৷
    ইতোপূর্বে নবী/রাসূলসহ সকলে শুধু ক্ষয় করে গেছে? সবাই ত আর ইসলামি বিধান প্র… 
    See more
  • Yahya Mahdy
    আপনার চিন্তাটা আপডেট ভালো চিন্তা মনে হচ্ছে। সালাফিদের চিন্তাধারাও এর আশেপাশে। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের চিন্তাই আমার বেশি পছন্দ হয়।
  • MD Abdur Rakib
    বর্তমান রাজনীতি থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসা দরকার।
    View 1 more reply
  • Abu Khaula
    ধন্যবাদ আপনাকে। বাস্তবসম্মত কথা বলেছেন। এই কথাগুলোই বহু আগ থেকেই মুফতি হারুন ইজহার হাফি. বলে আসছেন।
  • Mohammad Hossain
    একমত
  • Jayed Jasim
    মওদূদী সাহেব যে দর্শন থেকে জামায়াত ইসলামি গঠন করেছেন, বর্তমান জামায়াত কিন্তু সেই দর্শনের উপর অবিচল থাকতে পারে নাই......যার কারন হতে পারে
    ১.রাজনৈতিক অদূর্দশীতা
    ২.তাকওয়াপূর্ণ কর্মীর ঘাটতি।