Wednesday, April 13, 2022

প্রিয় খালাতো ভাইয়ের বিদায়

রক্তের ভাই প্রিয় বন্ধু আল্লাহ তোকে ক্ষমা করে দিক।

দুনিয়ার সাথে অভিমান করে এভাবে নীরবে চলে যাবি ঘূনাক্ষরেও ভাবিনি।।
আমরা প্রায় কাছাকাছি সময় পৃথিবীতে এসেছি। একইসাথে দুষ্টমিতে ভরা শৈশব কৈশোর পাড়ি দিলাম, একইসাথে পড়াশোনা করলাম, একসাথে কতো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বাহিরে আড্ডায় মেতে থাকতাম। বন্ধুদের আড্ডায় তার সুন্দর বাচনভঙ্গি ও মজার মজার কথাদিয়ে সবাইকে মাতিয়ে রাখতো।
তার মতো এমন প্রাণচঞ্চল ও স্বপনচারী মানুষ কমই দেখেছি, তার সাথে কথা বললে নিজের হতাশাই নাই হয়ে যেতো, তার রয়াল ভয়েজে , মিশুক ও সুন্দর মনের জন্য আমাদের বন্ধুদের প্রায় সকলের প্রিয় ছিলো, এবং উস্তাদরাও তাকে খুব ভালো পেতেন, কারণ দুষ্টমি করলেও পড়াশোনা ও খেলাধুলাসহ সবকিছুতেই ভালো ছিলো।
ক্লাসমেটদের সাথে গল্প হলে তার একটা অংশজুড়ে তার উপস্থিতি থাকতো।
সে আমার কলিজার ভাই ছিলো, তার ভালোর জন্য সবসময় পেরেশানি কাজ করতো। সেও আমাকে অনেক সন্মান করতো এবং ভালবাসতো।। আজ মনে হচ্ছে কলিজার একটা অংশ খালি হয়ে গেছে।
আফসোস, যে ভালোবাসা আর ছায়ার অভাব অভিমানী বানিয়েছে যদি তারা একটু ফিল করতো!
কিন্তু উপরে উপরে প্রাণচঞ্চল স্মার্ট ভাইটি আমার কষ্ট আর হতাশার অবিরাম দরিয়ায় সাতরাতো, যা দেখে কারোই বুঝার উপায় থাকতোনা। আমি বুঝতাম কিন্তু কাউকেই তার কষ্টের কথা কখনো শেয়ার করতেননা শুধু নিজের সুন্দর ও সাহসী মুখোশটাই দেখাতেন।।
আমি প্রায়ই বলতাম, ও জীবনে যা করতে চেয়েছে তার সব কিছুতেই হতাশ ও ব্যার্থ হয়েছে শুধু বিয়েটা ছাড়া।
আল্লাহ তার কোনো ভালোর দিকে তাকিয়ে ক্ষমা করে দিন। আমিন। অন্তত দুনিয়া না পাওয়ার বিনিময়েও যদি ক্ষমা দেন।
অসহায়ত্বের কালে প্রিয় মানুষের ছায়া থেকে আর কেউ যেনো বঞ্চিত নাহয় কেউ যেনো বঞ্চিত না করেন।।
তার বৃদ্ধ মা যেনো আদরের ছোটো ছেলের বিয়োগ যন্ত্রণা সইতে পারে। আমিন।