ইসলামের জ্ঞান ও আমল দিয়ে নিজের ভিতরটা আলোকিত করুন। আল্লাহ সন্মান বাড়িয়ে দিবেন। এজন্য বুদ্ধিজীবী হওয়ার খায়েশ থাকার দরকার নেই।
তারপরও বুদ্ধিজীবী হওয়ার লালসা প্রবল হলে নিম্নোক্ত টেকনিকগুলো ফলো করতে পারেন-
- ১। সর্বাগ্রে ঈমান ইসলাম নিয়ে লেখালেখি বাদ দিতে হবে।
- ২। ইসলাম নিয়ে লিখলেও সেটা প্রতিষ্ঠিত ব্যাখ্যাকে চ্যালেঞ্জ করে বা ক্রিটিক করে লিখতে হবে।
- ৩। নিজের আত্মপরিচয় বা ধর্ম পরিচয় বুক ফুলিয়ে বলতে পারবেননা।
- ৪। কথা বা লেখার আগেপাছে প্রচুর ইংরেজি টার্ম ইউজ করে লেখাকে এমন কমপ্লেক্সে করতে হবে যেনো কেউ লেখার আগামাথা কিছুই ধরতে না পারে। তবে এটা বুঝতে পারে যে, আপনি উচ্চমার্গীয় কিছু একটা লিখেছেন।
- ৫। ইসলামপন্থী তথা যারা ইসলামী রাস্ট্র কায়েম করতে চায় তাদেরকে প্রচুর ক্রিটিক করতে হবে, দু'চারজন পশ্চিমা কাফের সমাজবিজ্ঞানীর থিউরি আওড়াইয়া প্রমাণ করতে হবে ইসলামী রাষ্ট্র ধারণা একটা অনৈসলামিক ধারণা।
- ৬। সর্বদা স্রোতের বিপরীতে একটা অবস্থান দাঁড় করাতে হবে, সবাই যা বলবে ঠিক তার বিপরীতে বলতে হবে, হোক সবার কথা সঠিক।
- ৭। এমন অহংবোধ তৈরি করতে হবে, যার কারণে সাধারণদের কাতারে শামিল দাঈ ইলাল্লাহর কাজ করতে পারবেননা লজ্জায় কিংবা ভাবে।
- ৮। প্রাচীন দার্শনিকদের প্রচুর কোটেশন ও বইয়ের নাম মুখস্থ করবেন এবং জায়গায় বেজায়গায় সেগুলো আওড়াবেন।
- ৯। আলেম ওলামা, কবি সাহিত্যিক ও ইসলামিস্টদের নাম ধরে ধরে সমালোচনা করতে হবে।
- ১০। আন্দাজ অনুমান নির্ভর হয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে, বিশ্লেষণ ভুল হলেও মেনে নেওয়া যাবেনা।
- ১১। এবং কাউকে স্বীকৃতি দেওয়া যাবেনা, একান্তই স্বীকৃতি দিতে হলে হাফ বা কোয়ার্টার স্বীকৃতি দিতে হবে, মানে দু'চারটে দোষ অনুমান করে হলেও চাপিয়ে দিতে হবে।
- ১২। নিজের জ্ঞান নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে হবে, মানে এমন ভং ধরতে হবে, যেনো দেখেই মানুষ অনুমান করতে পারে আপনি মহাজ্ঞানী টাইপের কোনো প্রাণী হবেন।
- ১৩। কাউকেই গুরু মানা যাবেনা, মানলেও স্বীকার করা যাবেনা
- ১৪। নিজেকেই সবচেয়ে বড়ো জ্ঞানী এবং নিজের ব্যাখ্যাই সেরা ব্যাখ্যা মনে করতে হবে।
আহবান:
আমাদেরকে মানুষের চোখে বুদ্ধিজীবী হওয়ার চাইতে বিনয়ী ও পরিশুদ্ধ ক্বলবের অধিকারী হওয়া বেশি জরুরী এবং আলটিমেট সাফল্য এখানেই।
আল্লাহর ভাষায়,
قَدْ أَفْلَحَ مَن تَزَكَّىٰ
অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে যে পরিশুদ্ধ হয়।
আমাদের সালফে সালেহিনেরা বুদ্ধিজীবী ছিলেন না, তারা আল্লাহর দ্বীনের ফকিহ ছিলেন। এবং তারা দ্বীনের আলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহও মানুষের হৃদয়ে তাদের জন্য ভালোবাসা তৈরি করে দিয়েছেন।