Saturday, March 14, 2020

দেশপ্রেম

অন্ধ দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদ ধর্মের একটি শাখা।
আর এ ধর্মবাদীদের মানুসিকতা যে কত নিকৃষ্ট(!) আর কত বর্বর(!) তা বুঝার জন্য অসহায় মজলুম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশপ্রেমিকদের মন্তব্য গুলোই যথেষ্ট।
দেশপ্রেমিকরা দেশপ্রেমের নামের তারকাটায় আবদ্ধ এক টুকরো ভূমির পূজা করে। তাই আমি দেশপ্রেমিক নামের এসব পৌত্তলিকতাবাদীদের দলে নেই।
আমার আক্বীদা:
"সারা জাহা হামারা”
আমার বিশ্বাস আমার কোন দেশ নেই। মুসলিমের নির্দিষ্ট কোন দেশ থাকতে নেই। তাই সারা দুনিয়াটাই আমার দেশ। দুনিয়ার সব মানুষের কল্যাণে আমি। সবাই আমার ভাই। আমার কাজই হল, মানবতার সেবা করা, মানবতাকে ধ্বংসের গর্ত থেকে উঠিয়ে আলোর মিছিলে শামিল করে দেওয়া।
আল্লামা ইকবালের ভাষায় দেশপূজারীদের আক্বীদার চিত্র ও তাদের প্রতি দাওয়াত:
ইন তাযা খোদাও মে বারা সাবসে ওয়াতান হ্যাঁয়
জো পাইরাহান ইসকা হ্যাঁয়, ওহ মাযহাব কা কাফান হ্যাঁয়
[অর্থাৎ এই নব্য খোদাদের মধ্যে, দেশ হল সবচেয়ে বড় খোদা
ইসলামের কাফন দিয়েই জাতীয়তাবাদ নিজের অঙ্গ ঢেকেছে]
বায়ু তেরা তাওহীদ কী কুওয়াত সে কাওয়ী হ্যাঁয়
ইসলাম তেরা দেশ হ্যাঁয়, তু মুস্তাফাওয়ী হ্যাঁয়
আই মুস্তাফাওয়ী খাক মে ঈশ বুত কো মিলা দে
[অর্থাৎ তোমার বাহু তো, তাওহীদের আদর্শে ঐক্যতায় পৌঁছে
ইসলাম তোমার দেশ, তুমিই তো রাসুলের অনুসারী
হে রাসুলের অনুসারী, এই সব খোদাকে মাটিতে মিশিয়ে দাও]
মন্তব্য:
Abubakar Siddique - 
আপনার চিন্তা চেতনাই ইসলাম। মাগার মুসলিম দুনিয়ায় উম্মাহ স্প্রীট নেই। সেরা ২ ইসলামী আন্দোলন এমন স্প্রীটের উপর জম্ম নিলেও সেখানে নেই। জাতি রাষ্ট্র কন্সেপ্ট ধারন করেছে। কি করবেন? দিন দিন আমরা ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ।
রিপ্লাই: 
আমি আপনার সাথে একমত। তবে আমার বিশ্বাস ইসলামী আন্দোলনগুলো এখনো সেই উম্মাহ স্প্রীটের ওপর দাড়িয়ে আছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ইসলামী আন্দোলন গুলো দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করে যাওয়ার পরেও সফলতার মুখ দেখতে পায়নি বরং দিনদিন হতাশার কালো রাত্রির চাদরের প্রশস্ততা বেড়েই যাচ্ছে। এমতবস্থায় হতাশা আসাটা মানবীয় বাস্তবতার দাবি বলেই মনে করি। আর হতাশা থেকেই ডেভিয়েসন শুরু হয়। পরাজয় সব সময় সবার ঈমান-ইয়াক্বিনকে দৃঢ় করে এমন নয়, মাঝেমধ্যে কারো মাঝে বা অনেকের মাঝে ঈমান সংশয়েরা ঢেকে দেয়। আর সেটাই হয়েছে ইসলামী আন্দোলনগুলোর।
আমি মনে করি, এমতবস্থায় ইসলামী আন্দোলনগুলোর উচিৎ সমস্ত হীনমন্যতা ঝেড়ে পেলা। সফল হওয়ার জন্য বস্তুবাদীদের সফলতার সিঁড়ি গুলো নিজেরাও ব্যাবহার করার যে বর্জুয়া নীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছি সেগুলোকে ছুড়ে পেলে দিয়ে, সফলতার জন্য খোদা প্রদত্ত নীতি গ্রহণ করলেই সফলতার দ্বার উন্মোচন হবে বলে মনে করি।
আর হ্যাঁ,
যেহেতু জাতি রাষ্ট্রের মাঝে থেকেই আমাদের কাজ করতে হয়, সেহেতু এর ধুলোকালি থেকে নিজেদের মাহফুজ রাখা বড়োই কঠিন ব্যাপার।