Saturday, March 14, 2020

মওসুমী ইমানি জজবা

আজ যদি জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় আসে, আগামীকাল দেখবেন শরীয়াহ আইনের জন্য দেওবন্দিদের ঈমান দরিয়ায় জোশ মেরেছে। পরশুদিন যদি দেখে, জামায়াত এখনো শরীয়াহ আইন কায়েম করেনি। তখন দেখবেন, মসজিদে মসজিদে দেওবন্দি ইমামেরা শরীয়াহর জন্য হুঙ্কার দিয়ে বলবে, যারা আল্লাহ্‌র দেওয়া আইন দিয়ে বিচার-ফয়সালা করেনা তারা কাফির, জালিম, ফাসিক। আর বলবে, দেখেন আমরা আগেই কইছি এরা মুসলমান না, এরা মওদূদিবাদী।
আবার, ইতিমধ্যেই দেখবেন, উম্মাহর ঈমান হিফাজতের উদ্দেশ্যে, জামায়াতি সরকারকে টেনে-হিচড়ে নামাবার জন্য কেউ তার আশেক মাশুকদের নিয়ে জাহাজ ভর্তি করে শাপলা চত্বরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছে।

অথচ, এই দেওয়বন্দিরা তাদের জন্মের পর থেকে দেখে আসছে,
খোদাদ্রোহী তাগুত সেক্যুলার ও ব্রাহ্মণবাদী গোষ্ঠী আল্লাহ্‌র আইনকে ছুঁড়ে পেলে দিয়ে, মানব রচিত তন্ত্রমন্ত্র দিয়ে খোদার বান্দাহদের উপর খড়গ চালাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা কিংবা আল্লাহ্‌র আইন কায়েমের জন্য চেষ্টা সংগ্রামে উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরে থাক, বরং প্রতি জুমাবারে ইমাম সাহেবেরা এসব খোদাদ্রোহী আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনাকারীদের জন্য যে পরিমাণ দোআ করে তাতে আমার মতো গরীব মুসলমানেরা চিন্তায় পড়ে যায় যে, সেক্যুলারদের জন্য আল্লাহ্‌র জান্নাত নাকি ইসলামপন্থীদের জন্য...🤔🤔