আমাদের থেকে মাত্র কয়েক হাত দূরেই প্রিয় শহীদ কামারুজ্জামানকে হত্যার কাজ (রাত১০.০১) সম্পন্ন করে। কিন্তু আমরা তখন এতই অসহায় ও দুর্বল ছিলাম যে, প্রিয় নেতাকে নিষ্ঠুর ফাঁসির রশি থেকে রক্ষা কিংবা প্রতিবাদ করা অথবা চিৎকার করে একটু কান্না করার পর্যন্ত অধিকার, সুযোগ কোনটি-ই ছিলোনা! আমরা এতই হতভাগা!
প্রিয় নেতাকে শহীদ করার সকল কার্যক্রম কেবলি নির্বাক নয়নে চেয়ে চেয়ে দেখেছি। নিজেদের অসহায়ত্বের দৃশ্যরূপ দেখে মনে হচ্ছিল, মক্কায় যখন ইয়াসারের পরিবারের উপর হত্যা ও নির্যাতনের ষ্টীম রোলার পরিচালিত হচ্ছে তখন আল্লাহ্র রাসুল সাঃ এই দৃশ্য দেখে বললেন ❝হে ইয়াসারের পরিবার ধৈর্য ধরো এবং জান্নাতের সুঃসংবাদ গ্রহণ কর।❞
হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লেখার সময় আবু জান্দাল রাঃ শীকল পরিহিত অবস্থায় বহু কষ্টে রাসুলের সাঃ সাথে মিলিত হয়। আর মুশরিকরা জান্দাল রাঃ কে সাহাবায় কেরামের সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় আর আল্লাহ্র রাসুল সাঃ শুধু বললেন জন্দাল ধৈর্য্য ধর, তিনি জমিনকে প্রশস্ত করে দিবেন।
তখন ইচ্ছে করছিল, কারার কপাট, ব্রেকিং ফাইলের গ্রিল ও দেয়ালকে ভেঙে, ফাঁসির মঞ্চকে চুরমার করে উদ্ধার করি প্রিয় মজলুম নেতা, ইসলামী আন্দলনের কর্মীদের আলোর নক্বীব শহীদ কামারুজ্জামানকে। কিন্তু চোখের দু'ফোটা অশ্রু ছাড়া যে আর কিছুই দিতে পারিনি! প্রিয় শহীদ আমাদের ক্ষমা করে দিয়েন। আজ হেরে গেলেও চুড়ান্ত বিজয় আমাদের-ই হবে, মানবতা মুক্তি পাবেই ইসলাম বিজয়ী হবেই... ইনশাআল্লাহ!
হে কাবার প্রভু, জীবন মৃত্যুর ফয়সালাকারী!
প্রিয় নেতাকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতে উঁচু মাকাম দান করুন।
১১এপ্রিল ২০১৬
#শহীদ_কামারুজ্জামান