বললাম, সৈয়দ আবুল মকসুদ ছিলেন, খুনি জালিমদের পৃষ্ঠপোষক, জামায়াতে ইসলামির নিরাপরাধ নেতৃবৃন্দকে জবাই দেওয়ার আন্দোলনের অন্যতম সেনানায়ক, জামায়াত-শিবিরের নিরীহ নেতা-কর্মীর উপর চালানো হত্যাযজ্ঞ ও নিষ্পেষণ চালানোর জন্য অন্যতম উস্কানি ও মদদদাতা, মৌলবাদ ও সাম্পদায়িকতা নির্মুলের নামে মাদরাসা-মসজিদের বিরুদ্ধে বিষোদগারকারী, ইসলামী আইনের বিরোধিতার নামে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণকারী।
কিন্তু আমিতো বলিনি, তিনি জাহান্নামের চলে গেছেন, কিংবা মৃত্যুর সময় নাস্তিক বা কাফির হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছে।
মৃত্যুর আগে কোনো কাফির-মুরতাদও যদি ঈমান এনে জান্নাতে চলে যায়, তাতে আমার আফসোসের কিছু নেই। কিন্তু দুনিয়াবাসী তার কলিজা খুঁড়ে দেখবেনা যে, তার ঈমান ছিলো কী ছিলোনা। বরং তার রেখে যাওয়া কথা কাজ দিয়েই তাকে মূল্যায়ন করবে, তার পরিচয় মানুষের সামনে তুলে ধরবে। এবং মানুষ তার বাহ্যিক
আমল দেখে তাকে স্বীকৃতি দিবে। এবং ইসলাম এধরণের বাহ্যিক আমল দেখে মূল্যায়নের অনুমতি দেয়। [এই মূল্যায়ন কাউকে জান্নাত বা জাহান্নাম দিতে পারবেনা]
قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ صَلّى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا وَأَكَلَ ذَبِيْحَتَنَا فَذلِكَ الْمُسْلِمُ الَّذِيْ لَهٗ ذِمَّةُ اللهِ وَذِمَّةُ رَسُولِه فَلَا تُخْفِرُوا اللهَ فِيْ ذِمَّتِه
যে ব্যক্তি আমাদের ন্যায় সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে, আমাদের কা‘বাকে ক্বিবলা (কিবলা/কেবলা)হ্ (কিবলাহ/কিবলা) হিসেবে গ্রহণ করে, আমাদের যাবাহকৃত পশুর গোশত (গোশত/গোশত/গোসত) খায়, সে এমন মুসলিম যার জন্য (জান-মাল, ইজ্জাত-সম্ভ্রম রক্ষায়) আল্লাহ ও রসূলের ওয়া‘দা রয়েছে। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার ভঙ্গ করো না। (বুখারী-৩৯১)
এই হাদিস দ্বারা বুঝা যায় উপরের বাহ্যিক আমলগুলো করলে তাকে মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি ও অধিকার দিতে হবে, কিন্তু অন্তরের ঈমান থাকুক বা না থাকুক সে হিসেবে ভার মানুষের নিতে হবেনা।
এর মানে এই নয়, বাহ্যিক আমল দ্বারা প্রমাণিত কাফিরকে কাফির বলা যাবেনা।