আমি শবেবরাতের পক্ষের লোক। আমি এ রাতকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করি। এই রাত্রি উপলক্ষে হালুয়া-রুটি সহ বিশেষ খাবারের আয়োজন করা এবং তা দিয়ে মেহমানদারী করানোকে উত্তম মনে করি, রাতভর ইবাদত বন্দেগী করা ও তরুণ-যুবকদের দলবেঁধে মসজিদের এসে 'কে কত বেশি রাকাত নফল নামাজ পড়তে পেরেছে' তার প্রতিযোগিতাকে কল্যাণকর মনে করি।
আমি চাইনা আমাদের অঞ্চলের এতো বড়ো ধর্মীয় সংস্কৃতিটি কারো 'বিদআত বিদআত' জিকিরের কবলে পড়ে বিলুপ্ত হয়ে যাক।আমাদের উচিৎ এই দিবসকে ঘিরে বিদআত ও ভুল বয়ান গুলোকে চিহ্নিত করা এবং মানুষদের সচেতন করা।
এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে যাওয়া ভাব-গাম্ভীর্যপূর্ণ এই সংস্কৃতিটিকে বাদ দেওয়ার মাঝে আমি কল্যাণ দেখিনা। বরং শবে বরাতকে কেন্দ্র করে তরুণদের মাঝে আধ্যাত্মিকতার যে আবহ তৈরি হয়, সেটা তার ধর্মীয় চেতনা ও বিশ্বাস নির্মাণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করি।
এটা আমার বুঝ, আপনার ঠিক বিপরীত বুঝকেও আমি সন্মান করি, এবং আপনার বুঝ আমার বুঝের চাইতেও অধিকতর শুদ্ধ হতে পারে।
- Sorol Kotha, আতিফ আবু বকর and 112 others
31 Comments
Sumiya Dibaকোন বিশেষ দিনকে এভাবে উদযাপন করা ইসলামী শরীয়তের নাই, এটা বলতে আহলে হাদিস হওয়ার দরকার নাই ভাই !
Rakib Hasanবোন! আপনার চিন্তাও ঠিক আছে। তবে আমি মনে করি বিশেষ কোনো দিন উদযাপনে দোষ নেই, দোষ হলো উদযাপন করাকে ইবাদত বা সাওয়াবের মনে করা।
কেউ যদি সাওয়াবের হিসেব না করে এই দিনে দান খয়রাত করে, বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে বিশেষ খাবারের আয়োজন করে, একটু ইবাদত বন্দেগী করে তাহলে এতে ক্ষতির কিছু নেই মনে করি।
তবে সাওয়াব গুনাহের হিসেব কষলে বিদ'আত হবে।
(তবে আমার কথাই শেষ কথা এমন নয়)
Rakib HasanSumiya Diba আমাদের উচিৎ এই দিবসকে ঘিরে প্রচলিত ভুল কথা গুলোকে চিহ্নিত করা এবং মানুষকে সচেতন করা।
এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের সাথে মিশে যাওয়া ভাব গাম্ভীর্যপূর্ণ সংস্কৃতিটিকে বাদ দেওয়ার মাঝে কল্যাণ দেখিনা
Md Abdul Mannanসওয়াবের জন্য না করলে,
এসব আনুষ্ঠানিকতা, সংস্কৃতির কী প্রয়োজন, ভাই?
এটাকে লাইলাতুন্ নিসফি মিন্ শা'বান/ ক্ষমার রজনী
বলা যেতে পারে।
ভাগ্য রজনী কোনো ভাবেই নয়।
কিন্তু আমাদের সমাজে
তা ই মনে করা হয়।
বিশেষ কোনো ইবাদাতের নির্দেশনা/ বাধ্যবাধকতাও নেই।
Mohammad Shakib Azizমনে অনেক কিছুই করা যায়! তবে সেটা ইসলাম হয়ে যায়না। দিনশেষে বিদ'আত বলেই পরিগণিত হয়।
Rakib Hasan replied
·
1 Reply
Sirajum Muniraআমাদের দেশে ইসলাম কেন্দ্রিক উৎসব খুব কম। ইবাদত হিসেবে না হোক, সংস্কৃতি হিসেবে আরও কিছু দিবস পালন দরকার আছে। বাচ্চারা ইসলামি ভাবধারা নিয়ে আনন্দ ফুর্তি করবে, কিশোর রা পাঞ্জাবি টুপি পরে রাস্তায় ঘুরাঘুরি, আড্ডা দিবে। বিষয় টা খারাপ না।
Rakib Hasan replied
·
1 Reply
Rakib Hasan replied
·
3 Replies
Rakib Hasan replied
·
1 Reply
Rakib Hasanজ্বি আমিও কালচারাল প্রভাবের জায়গা বিবেচনা করেই এই সংস্কৃতির প্রতি সমর্থন জানালাম।
AbūSamīhah Sirājul-Islāmআপনার-আমার মনে করা দিয়ে দীন হয় না ভাইয়া। যা বিদ'আত তা বিদ'আতই। সেটা সালাফীরা বলুক আর মানহাজী/মাজহাবীরাই বলুক।
রাতের তাৎপর্য আছে ভাল, কিন্তু বিশেষ কোন 'ইবাদত সাব্যস্ত নাই। তারপরের কথা হল, এটা কোন ঈদের দিন বা রাত না যে এই সময়ে স্পেশাল খাবার তৈরি করতে হব…
See More
Taib AhmedRakib Hasan That's okay
Rakib bhaia. But we must keep in mind that there is a serious fitna called "anthropological Islam" spearheaded by Talal Asad, Ovamir Anjum, and others. According to them, Islam is what are practiced by Muslims over the time, and Islam is not what Allah/Quran says. This idea of promoting local culture may instigate that fitna.
Gulam Sarwar Chuwdhuryরাসূল (s) এই রাত যেভাবে উদজাপন করেছেন সেটাই সুন্নাহ্, এর মধ্যে আলাদা কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে এটাকে সংকৃতি বানানোই হল খাঁটি বিদআত ও রাসূলের (s) এর সুন্নাহকে বিদ্ধা অংগুলি দেখানো!