Saturday, March 14, 2020

সাজানো বাগানে হায়নাদের তাণ্ডবলীলা


প্রায় দু'শো বছর ধরে বহু রক্ত, আগুন আর ইজ্জতের কোরবানির বিনিময়ে একটি স্বপ্নিল ভূখণ্ডের মালিক হন যারা, তারা তাদের বিরান ভূমিকে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রৌদে পুড়ে এবং দেহের রক্তকে পানি করে সবুজ পত্রপল্লবে সাজিয়েছেন।
কিন্তু হঠাত, কিছু বন্য জন্তু-জানোয়ার ও হায়নারা সাজানো সেই বাগানের উপর নির্বিচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিরীহ বাগানের মালিক বহু চেষ্টা করেও এসব দো-পায়া জানোয়ারদের হাত থেকে বাগানকে হিফাজত করতে পারলেন না। কারণ, এই বন্য হায়নাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে বাগানের মালিকের আজন্ম শত্রু ধূর্ত শিয়াল।

অবশেষে, বেচারা বাগানের মালিক পালিয়ে গিয়ে দূর থেকে, নেকড়ে ও হায়নাগুলোর পৈশাচিক নিত্য, বিচ্ছিরি আন্দন্দ ধ্বনি শোনা আর ধূর্ত শেয়ালের বাগানের মূল্যবান বৃক্ষ নিধনের নির্মম দৃশ্য দেখা আর বসে বসে গজব দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার ছিলোনা।

বাগানের মালিকের গজব খুব দ্রুত কাজ দিলো, সেই প্রথমদিন থেকেই হায়না ও নেকড়েরা একে অপরকে খেতে শুরু করল। এবং হিংস্র হায়নারা অল্প কিছুদিন পর গণনা করে দেখলো, ইতিমধ্যেই তাদের বিপ্লবী ৪৮ হাজার হায়নাকে নেকড়েরা খেয়ে দিয়েছে।
এভাবে সেই খাওয়া খাই চলতেই থাকে প্রায় ১৫ বছর ধরে। এবং বিপ্লবী হায়নারা এক পর্যায় ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেয়। কিন্তু ধূর্ত শেয়ালের আশীর্বাদপুষ্ট নেকড়ের দল টিকে যায়।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, নেকড়ে ও মালিকের গন্ডগোলের পরে জন্ম নেয়া মালিকের ছেলে বাবাকে অভিশাপ দিতে লাগলো। কেনো মালিক বাবা নেকড়ের পালের সাথে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে বাগানের উপর যজ্ঞ চালায়নি? তাহলে নাকি তালগাছ না হলেও অন্তত কয়েকটা মান্দার গাছের মালিক হলেও হতে পারতো।🙄🤔
অবশেষে, ইঁচড়েপাকা ছেলে বাবার কোনো বুঝ গ্রহণ না করে, বাবাকে তিরস্কার করতে করতে সংসার থেকে আলাদা হয়ে, তালগাছের আশায় ধূর্ত শেয়ালের সাথে তাল মিলিয়ে উলুধ্বনি দিতে শুরু করে......

[বুঝতে বুঝ পাতা, না বুঝলে তেজপাতা]