আরবি
ভাষায় ‘দীন’ শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তার এক অর্থ প্রভুত্ব
ও প্রাধান্য, শক্তি ও আধিপত্য। দ্বিতীয় অর্থ আনুগত্য ও দাসত্ব। তৃতীয় অর্থ প্রতিফল ও
কর্মফল এবং চতুর্থ অর্থ পথ, পন্থা, ব্যবস্থা, আইন। উল্লেখিত আয়াতে ‘দীন’ (دين) শব্দটি
এ শেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ ‘দীন’ শব্দের অর্থ জীবন যাপনের পন্থা কিংবা কর্মের প্রণালী, এমন পন্থা
বা প্রণালী যা মানুষের জীবনে অনুসরণ করা যেতে পারে।
কিন্তু
মনে রাখতে হবে যে,
কুরআন কেবল ‘দীন’ই বলেনি কুরআন বলছে, ‘আদ্-দীন’, (الدين)। ইংরেজি ভাষা This is a way (এই একটি পথ)-এর
পরিবর্তে This is the way (এ একমাত্র পথ) বলায় অর্থের দিক
দিয়ে যতোখানি পার্থক্য হয় ‘দীন’ (دين) এবং ‘আদ্-দীন’ (الدين) শব্দের মধ্যেও অর্থের দিক দিয়ে ঠিক ততোখানি পাথর্ক্য হয়ে থাকে।
অর্থাৎ কুরআন একথা বলছে না যে, “ইসলাম আল্লাহর নিকট একটি (মনোনীত) ধর্ম” বরং তার দাবি, “আল্লাহর নিকট ইসলামই একমাত্র প্রকৃত, বিশুদ্ধ ও
নির্ভুল জীবনব্যবস্থা বা চিন্তা ও কর্মের প্রণালী।” এছাড়া একথাও মনে রাখতে হবে যে, কুরআন এ ‘আদ্-দীন’
শব্দটি কোনো সীমাবদ্ধ ও সংকীর্ণ অর্থে ব্যবহার করেনি, কুরআনে তার
অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক।
-স্রষ্টার "দীন" যখন ব্যাক্তি গণ্ডীতে বন্ধী থাকে তখন স্বাভাবিকভাবেই অন্যসকল ক্ষেত্রেই সৃষ্টির (মাখলুকের) দীন চালু হয়ে যাবে কিংবা অব্যাহত থাকবে । হতে পারে তা পরিবার, সমাজ, রাষ্ট , আন্তর্জাতিক জীবনে ।
সত্য ঝর্নার নির্মল স্রোত যে ভূমিকে স্পর্শ করবেনা সেই দুর্ভাগা ভূমি মিথ্যা মরিচিকাময় মরূদ্যানে পরিণত হবে ,এমনটিই ত স্বাভাবিকতা দাবী ।